স্পোর্টস ডেস্ক//ইন্টারন্যাশনাল লিগ টি-টোয়েন্টিতে (আইএল টি-টোয়েন্টি) রবিবার বল হাতে আলো ছড়িয়েছেন বাংলাদেশের দুই তারকা সাকিব আল হাসান ও মোস্তাফিজুর রহমান। দুই তারকার দারুণ পারফরম্যান্সে তাদের দল যথাক্রমে এমআই এমিরেটস ও দুবাই ক্যাপিটালস জয়ের দেখা পেয়েছে।
দুবাই ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ডেজার্ট ভাইপার্সের বিপক্ষে অলরাউন্ড নৈপুণ্য দেখিয়েছেন এমিরেটসের সাকিব আল হাসান। টুর্নামেন্টের প্রথম দুই ম্যাচে কিছুটা অনুজ্জ্বল থাকলেও তৃতীয় ম্যাচে এসে নিজের জাত চিনিয়েছেন এই বাঁহাতি। ৪ ওভার বোলিং করে মাত্র ১৪ রান খরচায় শিকার করেন ২ উইকেট। সবচেয়ে অবাক করার বিষয় হলো, সাকিবের ২৪টি ডেলিভারির মধ্যে ১২টিই ছিল ডট বল এবং তার ওভারে কোনও বাউন্ডারি মারতে পারেননি ব্যাটাররা।
সাকিব সপ্তম ওভারে বোলিংয়ে এসে শেষ বলে উইকেটের দেখা পান। নিজের পরের ওভারেও নেন আরও এক উইকেট। স্যাম কারানের ফিরতি ক্যাচ নিয়ে তাকেও সাজঘরে ফেরান তিনি। সাকিবের কৃপণ বোলিংয়ে ডেজার্ট ভাইপার্স ৭ উইকেটে ১২৪ রানে থামে। জবাবে ১৫ বল বাকি থাকতে ৬ উইকেটে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় এমআই এমিরেটস। ব্যাট হাতে ১৭ রানে অপরাজিত থেকে ম্যাচ জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন সাকিব।
অন্যদিকে, আবুধাবির শেখ জায়েদ স্টেডিয়ামে গালফ জায়ান্টসের বিপক্ষেও মোস্তাফিজুর রহমান দুবাই ক্যাপিটালসে তার ধারাবাহিক ছন্দ ধরে রেখেছেন। নিজের প্রথম ওভারে ১৩ রান খরচ করলেও ১৪তম ওভারে বোলিংয়ে এসে দৃশ্যপট বদলে দেন দ্য ফিজ। ওই ওভারে ৪ বলের ব্যবধানে তুলে নেন জেমস ভিন্স (৩৬), আজমতউল্লাহ ওমরজাই (৪৩) ও শন ডিকসনকে। মোস্তাফিজের এই এক ওভারেই খেই হারিয়ে ফেলে গালফ। গালফ জায়ান্টস ১৫৬ রানে অলআউট হয়েছে। মোস্তাফিজ ৩.৫ ওভারে ৩৪ রান দিয়ে নেন ৩ উইকেট। বিধ্বংসী এই বোলিং স্পেলের জন্য ম্যাচসেরার পুরস্কারও জেতেন তিনি। এই জয়ের ফলে টুর্নামেন্টে ৭ ম্যাচে মুস্তাফিজের উইকেট সংখ্যা ১৪। তার দুর্দান্ত বোলিংয়ের পর দুবাই ক্যাপিটালস ৪ বল হাতে রেখেই ৬ উইকেটের জয় নিশ্চিত করে।