সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি ||
সিলেটের বন্যার সার্বিক পরিস্থির উন্নতি হয়নি। প্লাবিত এলাকার বেশির ভাগই এখনো পানির নিচে রয়েছে। এছাড়া নগরীর পরিস্থিতিও একই। এদিকে সিলেটের ওপর দিয়ে প্রবাহিত সুরমা নদীর পানি কমতে শুরু করলেও বাড়ছে কুশিয়ারার পানি।
বন্যার পানি নেমে যাওয়ায় সিলেটের সঙ্গে সুনামগঞ্জের সড়ক যোগাযোগ স্বাভাবিক হতে চলছে। সিলেটের কুমারগাও বাসস্ট্যান্ড থেকে দু একটি বাস সুনামগঞ্জের দিকে ছেড়ে যেতে দেখা গেছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তথ্য অনুযায়ী, সোমবার (২০ জুন) দুপুর ১২টার দিকে সুরমা নদীর সিলেট পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার দশমিক ৫৫ সেন্টিমিটার ও কানাইঘাটে ১ দশমিক ১৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল।
অন্যদিকে কুশিয়ারার পানি অমলসিদ পয়েন্টে ১ দশমিক ৮৪ সেন্টিমিটার, শেওলা পয়েন্টে বিপৎসীমার দশমিক ৬৩ সেন্টিমিটার ও ফেঞ্চুগঞ্জ পয়েন্টে বিপৎসীমার দশমিক ৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
জানা গেছে, সুরমা নদীর পানি কমতে থাকায় নগরীতে প্লাবিত এলাকাগুলোর পানিও কমতে শুরু করেছে। তবে উপশহর, তালতলা, তেররতন, ঘাসিটুলাসহ বিভিন্ন এলাকায় এখনও পানি রয়েছে। নগরীর বেশিরভাগ এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ চালু হলেও প্লাবিত এলাকার মানুষ এখনও অন্ধকারে আছেন। এসব এলাকায় গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকায় চরম সঙ্কটে রয়েছেন নগরবাসী। এছাড়া পল্লী বিদ্যুতের আওতাধীন এলাকাগুলো এখনো অন্ধকারে রয়েছে।
সিলেটের দক্ষিণ সুরমা এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক করতে কাজ করছে সেনাবাহিনীর একটি টিম। তারা পানি ঢুকে যাওয়া একটি সাবস্টেশন কেন্দ্রে বাঁধ দিয়ে সচল করার কাজে নিয়োজিত আছেন।
সিলেটে পাউবোর উপ-সহকারী প্রকৌশলী একেএম নিলয় পাশা জানান, কুশিয়ারা নদীর পানি বাড়ার কারণে ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার কিছু এলাকা নতুন করে প্লাবিত হতে পারে। তবে এটা মারাত্মক রূপ নেবে না। সুরমার পানি আরো কমবে বলেও জানান তিনি।
জেলা দুর্যোগ ও ত্রাণ কর্মকর্তা মো. নুরুল ইসলাম জানান, ত্রাণ তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে। সবকটা উপজেলায় শুকনো খাবার পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। তবে বিভিন্ন জায়গায় খাদ্য গুদাম ডুবে থাকায় সাময়িক সমস্যা হচ্ছে।
এদিকে সরকারি ত্রাণ পর্যাপ্ত না হওয়ায় সিলেট সদর উপজেলার টুকেরবাজার ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার মো. গিয়াস উদ্দিন ত্রাণ ফিরিয়ে দিয়েছেন। তিনি চেয়ারম্যানকে তার মতো করে ত্রাণ বিতরণ করার জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন।