আন্তর্জাতিক ডেস্ক//ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী দক্ষিণ লেবাননে একের পর এক বিমান হামলা চালিয়েছে। এতে কয়েকটি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। লেবাননের ন্যাশনাল নিউজ এজেন্সি জানায়, সোমবার (৮ নভেম্বর) রাতে ইসরায়েলি যুদ্ধবিমান মাউন্ট সাফি, জ্বাবা শহর, জেফতা ভ্যালি এবং আজ্জা ও রুমিন আর্কির মাঝামাঝি এলাকা লক্ষ্য করে বেশ কয়েক দফা হামলা চালায়। হিজবুল্লাহ’র সঙ্গে গত বছর হওয়া যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন নিয়ে ক্রমবর্ধমান ক্ষোভের মধ্যেই এই হামলার ঘটনা ঘটেছে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এ খবর জানিয়েছে।
এক্সে দেওয়া এক পোস্টে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী দাবি করেছে, তারা হিজবুল্লাহর কয়েকটি স্থাপনায় আঘাত করেছে। এর মধ্যে এলিট রাদওয়ান ফোর্স ব্যবহৃত একটি বিশেষ অপারেশন প্রশিক্ষণ কম্পাউন্ড রয়েছে। কয়েকটি ভবন এবং একটি রকেট উৎক্ষেপণ সাইট লক্ষ করেও হামলা চালানো হয়েছে বলে জানিয়েছে তারা।
তবে এসব হামলায় তাৎক্ষণিক কোনও হতাহতের খবর মেলেনি।
হামলাগুলো এমন সময় এসেছে, যখন দুই দেশের যুদ্ধবিরতি তদারকির দায়িত্বে ইসরায়েল এবং লেবানন নিজেদের বেসামরিক প্রতিনিধিদের একটি সামরিক কমিটিতে পাঠিয়েছে। এটি যুক্তরাষ্ট্রের দীর্ঘদিনের চাপের পর নেওয়া একটি পদক্ষেপ, যারা চায় দুই দেশ আলোচনার পরিসর বাড়াক।
লেবাননের প্রেসিডেন্ট জোসেফ আওন শুক্রবার বলেছেন, তার দেশ ইসরায়েলের সঙ্গে আলোচনার পথ বেছে নিয়েছে এবং এই আলোচনার লক্ষ্য হলো ইসরায়েলের অব্যাহত হামলা বন্ধ করা।
২০২৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় যে যুদ্ধবিরতি হয়েছিল, তা ইসরায়েল ও হিজবুল্লাহর মধ্যে বছরেরও বেশি সময় ধরে চলা সংঘাতের ইতি টানে। কিন্তু এরপরও ইসরায়েল প্রায় প্রতিদিন লেবাননে হামলা চালিয়ে যাচ্ছে।
জাতিসংঘের নভেম্বরের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুদ্ধবিরতির পর থেকে লেবাননে অন্তত ১২৭ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছে, এদের মধ্যে শিশুরাও আছে। এই হামলাগুলোকে যুদ্ধাপরাধের শামিল বলে সতর্ক করেছেন জাতিসংঘ কর্মকর্তারা।
গত সপ্তাহে ইসরায়েল বৈরুতের দক্ষিণাঞ্চলে হামলা চালিয়ে হিজবুল্লাহর শীর্ষ সামরিক কমান্ডার হাইথাম আলি তাবতাবাইকে হত্যা করে উত্তেজনা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। গত বছরের সংঘাতে দুর্বল হয়ে পড়া হিজবুল্লাহ এখনও এই হত্যার প্রতিক্রিয়া জানায়নি।
ইসরায়েল অভিযোগ করে আসছে যে লেবানন দেশের ভেতরে হিজবুল্লাহকে নিরস্ত্র করতে যথেষ্ট পদক্ষেপ নিচ্ছে না—যা লেবানন সরকার অস্বীকার করছে।