1. masudkhan89@yahoo.com : admin :
  2. banglarmukhbd24@gmail.com : News Editor : News Editor
শুক্রবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৯:২২ অপরাহ্ন

মেয়র হিসেবে ঐতিহাসিক গ্রেসি ম্যানশনে থাকবেন মামদানি

সাংবাদিক
  • আপডেট সময় : মঙ্গলবার, ৯ ডিসেম্বর, ২০২৫
  • ৭ বার সংবাদ দেখেছেন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক//নিউ ইয়র্ক সিটির মেয়র-ইলেক্ট জোহরান মামদানি ম্যানহাটনের সেই ম্যানশনে বসবাস করবেন, যেখানে তার পূর্বসূরিরা থেকেছেন। তিনি ছেড়ে যাচ্ছেন ঐ ভাড়ার অ্যাপার্টমেন্টটি, যা তার প্রচার অভিযানের সময় তীব্র বিতর্কের বিষয় হয়ে উঠেছিল। সোমবার (৮ নভেম্বর) এক বিবৃতিতে মামদানি বলেন, ‘এই সিদ্ধান্ত মূলত আমাদের পরিবারের নিরাপত্তা এবং নিউইয়র্কবাসী যে সাশ্রয়ী আবাসনের এজেন্ডায় ভোট দিয়েছে তা বাস্তবায়নে আমার সম্পূর্ণ মনোযোগ দেওয়ার প্রয়োজনীয়তার উপর ভিত্তি করে নেয়া হয়েছে।’ ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ খবর জানিয়েছে।

১৭৯৯ সালে নির্মিত গ্রেসি ম্যানশন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে অধিকাংশ নিউ ইয়র্ক সিটি মেয়রের সরকারি বাসভবন হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে।

কিন্তু মামদানির কাছে সাশ্রয়ী আবাসন ছিল কেন্দ্রীয় ইস্যু, নভেম্বরের বিজয়ের পরপরই তিনি সেখানে থাকবেন কিনা, সে বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে নিশ্চিত করেননি।

মামদানি কুইন্সের অ্যাস্টোরিয়া এলাকায় থাকতেন। মধ্যবিত্ত পরিবারসমৃদ্ধ এই এলাকা অভিবাসী কমিউনিটি এবং বৈচিত্র্যময় বৈশ্বিক খাবারের জন্য বিখ্যাত।

বিবৃতিতে মামদানি আরও বলেন, অ্যাস্টোরিয়া: আমাদের নিউ ইয়র্ক সিটির সেরা রূপটি দেখানোর জন্য ধন্যবাদ।

যদিও আমি আর অ্যাস্টোরিয়ায় থাকব না, অ্যাস্টোরিয়া সবসময় আমার ভেতরে এবং আমার কাজের মধ্যে বেঁচে থাকবে তিনি বলেন।

প্রচারণায় মামদানির মূল প্রতিশ্রুতি ছিল—ভাড়া না বাড়ানো। এর সঙ্গে তিনি যুক্ত করেছিলেন তার নিজের আবাসন পরিস্থিতিকে। কিন্তু তার প্রতিদ্বন্দ্বীরা, বিশেষ করে নিউ ইয়র্কের সাবেক গভর্নর অ্যান্ড্রু কুওমো সমালোচনা করে বলেছিলেন, সেটা ছিল এক অ্যাপার্টমেন্ট দখল করে রাখার জন্য।

যদিও মামদানি একটি বিখ্যাত পরিবারের সন্তান। তার মা চলচ্চিত্র নির্মাতা মীরা নায়ার এবং বাবা মাহমুদ মামদানি কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক।

মামদানি ১ জানুয়ারির শপথ নেবেন। এর কাছাকাছি কোনও সময়ে গ্রেসি ম্যানশনে উঠবেন তিনি। তখন তিনি সাধারণ অ্যাস্টোরিয়ার বাসার তুলনায় একেবারেই ভিন্ন পরিবেশে থাকবেন।

হালকা মাখন-হলুদ রঙ, সবুজ শাটার এবং সাদা রেলিংসহ গ্রেসি ম্যানশন পূর্ব নদীর দিকে মুখ-দেখতে যেন বিয়ের কেকের মতো একটি বাড়ি। ভেতরে, ফেডারেল-স্টাইলের ম্যানশনের নিচতলা সাজানো হয়েছে বাড়িটির মূল সময়কার নকশার ভাব ধরে রেখে। এই কম্পাউন্ডে পাঁচটি শোবার ঘর রয়েছে বলে জানা যায়। মেয়র ও তার পরিবারের নিরাপত্তার জন্য বাড়তি সুরক্ষা ব্যবস্থা রয়েছে।

কিছু বাসিন্দার দাবি, গ্রেসি ম্যানশনে অতিপ্রাকৃত বাসিন্দাও আছে। সাবেক মেয়র বিল ডি ব্লাসিওর স্ত্রী শিরলেইন ম্যাকক্রে সাংবাদিকদের বলেছিলেন যে মাঝে মাঝে দরজা নিজে নিজে খুলে-বন্ধ হয় এবং মেঝের কাঠের তক্তাগুলো রহস্যময়ভাবে কেঁপে ওঠে।

অবসর গ্রহণরত মেয়র এরিক অ্যাডামস আরও নিশ্চিতভাবে বলেছিলেন, “আমি জানি অনেকে কী বলবে, কিন্তু আমি পরোয়া করি না। সেখানে ভূত আছে, ভাই।”

মামদানির বর্তমান অ্যাপার্টমেন্টটি ভাড়ার। অর্থাৎ শহর প্রতি বছর বাড়িওয়ালারা কতটা ভাড়া বাড়াতে পারবেন তার সীমা নির্ধারণ করে। নিউ ইয়র্কবাসীরা এসব অ্যাপার্টমেন্টকে জীবনের লাইফলাইন মনে করেন, কারণ আবাসন খরচ অনেকের সাধ্যের বাইরে চলে যাচ্ছে।

রেকর্ড অনুযায়ী, মামদানি তার অ্যাপার্টমেন্টের জন্য মাসে প্রায় ২,৩০০ ডলার দিতেন। রিয়েল এস্টেট প্ল্যাটফর্ম জিলোর তথ্য অনুযায়ী, নিউ ইয়র্ক সিটিতে এক শোবার ঘরের অ্যাপার্টমেন্টের গড় ভাড়া মাসে ৩,৫০০ ডলার।

সামাজিক যোগাযোগ এ শেয়ার করুন

একই বিভাগের আরও সংবাদ
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত © ২০২১ বাংলার মুখ বিডি
ডিজাইন ও ডেভেলপমেন্ট @ ইজি আইটি সল্যুশন