1. masudkhan89@yahoo.com : admin :
  2. banglarmukhbd24@gmail.com : News Editor : News Editor
বুধবার, ১৬ জুলাই ২০২৫, ১২:৪৯ পূর্বাহ্ন

বিমান ঘিরে বোমাতঙ্ক

সাংবাদিক
  • আপডেট সময় : মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই, ২০২৫
  • ৩ বার সংবাদ দেখেছেন

বাংলা রিপোর্ট//ভুয়া হুমকির টার্গেট করা হচ্ছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সকে। একটি চক্র বাংলাদেশ বিমানকে ঘিরে বোমাতঙ্ক ছড়াচ্ছে। এতে করে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ইমেজ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। চক্রটি সুপরিকল্পিতভাবে এমন তথ্য ছড়াচ্ছে। যাতে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানটির সুনাম ক্ষুণ্ন করা যায়।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, চলতি বছর তিন-চার বার এ ধরনের তথ্য ছড়ানো হয়। নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে প্রতিবারই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিশেষায়িত ইউনিট ডাকা হয়। পরে তল্লাশি করে কিছুই মেলে না। নিতান্তই আতঙ্ক ছড়াতে একটি চক্র এমন কাজ করছে বলে অভিযোগ তাদের।

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের জনসংযোগ বিভাগের কর্মকর্তা আল মাসুদ খান ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘বাংলাদেশে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক এয়ারলাইন্স তাদের ফ্লাইট অপারেট করে। কিন্তু আগে কখনও এই আতঙ্কের খবর পাওয়া যায়নি। অথচ চলতি বছরই তিন-চার বার শুধুমাত্র বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সকে ঘিরে এই ঘটনা ঘটেছে। এটা সবার কাছে পরিষ্কার যে একটি চক্র আমাদের টার্গেট করে ফোনে হুমকি দিচ্ছে। এমনকি ফ্লাইটের ভেতরে বোমা আছে বলে জানানো হয়েছে। আমরা এই ঘটনায় আইনশৃঙ্খলার বাহিনীর সহায়তায় তল্লাশি করে কিছুই পাইনি। তার মানে এগুলো ভুয়া।’

তিনি বলেন, ‘তারপরও আমরা সেফটি সিকিউরিটি নিয়ে অত্যন্ত সজাগ। এসব ভুয়া কল বা মেসেজের পরও আমরা সেফটি ও সিকিউরিটকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে সিভিল এভিয়েশনের আইন মেনে কাজ করছি।’

সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, গত ২২ জানুয়ারি ইতালির রোম থেকে আসা বাংলাদেশ বিমানের ফ্লাইট বিজি ৩৫৬ এর ভেতরে বিস্ফোরক রাখার বার্তা আসে এপিবিএনের ডিউটি অফিসারের নম্বরে। পাকিস্তানের নম্বর থেকে আসা বার্তার পরপরই এটি বেবিচকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অবহিত করলে পরবর্তীতে সেটির জরুরি অবতরণ করানো হয়। এরপর বিমান বাহিনীর কুইক রেসপঞ্জ ফোর্স, বোমা বিশেষজ্ঞ টিম, এপিবিএনর কুইক রেসপঞ্জ টিম, ডগ স্কোয়াড, ডিএমপির স্পেশাল ফোর্সের সদস্যরা ব্যাপক তল্লাশি চালায়। কিন্তু কোনও কিছুর অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি। এই রেশ কাটতে না কাটতে মালয়েশিয়ার একটি নম্বর থেকে বিমানবন্দরের অভ্যন্তরে বোমা রাখা আছে বলে বার্তা আসে। এই বার্তা পাওয়ার পরপরই বিমানবন্দরের নিরাপত্তা বাড়িয়ে দেওয়া হয়। ধাপে ধাপে চালানো হয় তল্লাশি। তবে এবারও কোনও কিছুর অস্তিত্ব পায়নি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।

সর্বশেষ গত শুক্রবার ঢাকা থেকে কাঠমান্ডুগামী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট বিজি ৩৭৩ এ বোমা রয়েছে দাবি করে এক ব্যক্তি বিমানবন্দরের কন্ট্রোল টাওয়ারে (এটিসি টাওয়ার) ফোন করে।

এই বার্তার পর বিমানের সব যাত্রী ও ক্রুদের নিরাপদে সরিয়ে নেওয়ার পর তল্লাশি করে আগের মতো কিছুই মেলেনি। প্রায় ৪ ঘণ্টা পর ওই ফ্লাইটটি আবারও রওনা দেয় কাঠমুন্ডুর উদ্দেশ্যে। এই ঘটনায় র‌্যাব ৩ জনকে আটক করে। পরবর্তীতে মামলাও হয়।

এভিয়েশন বিশেষজ্ঞ কাজী ওয়াহিদুল আলম বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘এটা যে শুধুমাত্র বাংলাদেশ বিমানের ক্ষেত্রে তা বলবো না। যে কারোর ক্ষেত্রেই হতে পারে। আমাদের পাশ্ববর্তী দেশ ভারতে এমন বেশ কয়েকটি ঘটনা ঘটেছে।’

তিনি বলেন, ‘এখন সবার হাতে প্রযুক্তি পৌঁছে গেছে। যেকোনও নম্বর সহজেই বের করা যায়। সর্বশেষ নেপালের ফ্লাইটের ক্ষেত্রে যেটি হলো সেটি রীতিমতো হাস্যকর।’

তিনি আরও বলেন, ‘এ ধরনের কল যারা করছে তাদের আইনের আওতায় আনতে হবে এবং কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। যদিও সিভিল এভিয়েশন শক্ত একটি প্রতিক্রিয়া দিয়েছে। কিন্তু এটি বাস্তবায়ন করতে হবে। দুই-একটা শাস্তি নিশ্চিত করা গেলে এ ধরনের ঘটনা কমে যাবে।’

এই এভিয়েশন বিশেষজ্ঞ বলেন, ‘আসলে নিরাপত্তার খাতিরে এগুলো এড়ানোও যায় না। কলগুলো এলে অবশ্যই আন্তর্জাতিক আইন মেনে এয়ারলাইন্সগুলো তাৎক্ষণিক অবতরণ করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে অবহিত করবে এটিই নিয়ম।’

বিমানবন্দরের নিরাপত্তায় নিয়োজিত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘বর্তমানে বিমানবন্দরের নিরাপত্তায় কোনও উদ্বেগ নেই। তবে এ ধরনের ঘটনায় আমাদের সতর্ক থাকতে হয়। আমাদের এখানে ডগ স্কোয়াড, বোম্ব ডিসপোজাল টিম, সিআরটিসহ আধুনিক প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত সদস্য রয়েছেন। আর সর্বমূলে যে কথা, আমাদের দেশ থেকে এ ধরনের ফোন এলে সে গ্রেফতার হবে। দেশের বাইরে থেকে এলে তো আমরা কিছু করতে পারবো না। যার কারণে সর্বশেষ ঘটনায় গ্রেফতার হয়েছে। কঠোর শাস্তি নিশ্চিত হলে এ ধরনের ঘটনা আর ঘটবে না।’

সামাজিক যোগাযোগ এ শেয়ার করুন

একই বিভাগের আরও সংবাদ
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত © ২০২১ বাংলার মুখ বিডি
ডিজাইন ও ডেভেলপমেন্ট @ ইজি আইটি সল্যুশন