আন্তর্জাতিক ডেস্ক//নোবেল শান্তি পুরস্কারজয়ী ভেনেজুয়েলার বিরোধীদলীয় নেতা মারিয়া কোরিনা মাচাদোর সংবাদ সম্মেলন মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) হঠাৎ করে বাতিল করা হয়েছে। নোবেল ইনস্টিটিউট জানিয়েছে, তিনি বর্তমানে কোথায় আছেন—এ নিয়ে তারা সম্পূর্ণ অন্ধকারে রয়েছেন। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ খবর জানিয়েছে।
২০২৪ সালের বিতর্কিত নির্বাচনকে কেন্দ্র করে মাচাদো কয়েক মাস ধরে আত্মগোপনে আছেন। তিনি এবং তার সমর্থকরা বলেন, নির্বাচনটি “চুরি” করা হয়েছে। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য এ বছর তাকে নোবেল শান্তি পুরস্কার দেওয়া হয়েছে। বুধবার অনুষ্ঠানে পুরস্কার গ্রহণ করার কথা ছিল তার।
মাচাদো নিয়মিতভাবে সাদা দেয়ালের সামনে বসে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভিডিওবার্তা দিলেও তার বর্তমান অবস্থান অজানা। নোবেল ইনস্টিটিউট আগে জানিয়েছিল তিনি সরাসরি অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন। তবে মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে তারা জানায়, ‘মারিয়া কোরিনা মাচাদো নিজেই বিভিন্ন সাক্ষাৎকারে বলেছেন, নরওয়ের অসলোতে যাত্রা করা তার জন্য অত্যন্ত চ্যালেঞ্জিং হবে। তাই তিনি কখন ও কীভাবে অনুষ্ঠানে পৌঁছাবেন—এ মুহূর্তে আমরা কিছু বলতে পারছি না।’
তবে তার পরিবার ইতোমধ্যেই অসলোতে পৌঁছে গেছে।
ভেনেজুয়েলা সরকার বলছে, দেশ ত্যাগ করলে মাচাদোকে ‘পলাতক’ ঘোষণা করা হবে। দেশটির অ্যাটর্নি জেনারেল তারেক উইলিয়াম সাব গত মাসে এএফপিকে বলেন, ‘নিজ দেশ থেকে বাইরে থাকা অবস্থায় তার বিরুদ্ধে বহু ফৌজদারি তদন্ত চলমান। তাই তাকে পলাতক হিসেবে বিবেচনা করা হবে। তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র, ঘৃণা উসকানি ও সন্ত্রাসবাদের অভিযোগ রয়েছে।’
এর আগে মাচাদো তার সমর্থকদের আশ্বস্ত করেছিলেন যে পুরস্কার গ্রহণের পর তিনি ভেনেজুয়েলায় ফিরে যাবেন।
তিনি যদি অনুষ্ঠানে যোগ দেন, তবে এটি হবে বছরের প্রথম জনসম্মুখে উপস্থিতি— যে বছরটির শুরুতে তিনি ৯ জানুয়ারি কারাকাসে প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোর অভিষেক বিরোধী এক বিক্ষোভে অংশ নিয়েছিলেন।
২০২৪ সালের নির্বাচনের পর বিরোধীরা ভোটগণনার তথ্য প্রকাশ করে দাবি করে যে তারা জয়ী হয়েছে, যদিও মাদুরো নিজেকে বিজয়ী ঘোষণা করেন। যুক্তরাষ্ট্রসহ কয়েকটি দেশ বিরোধী প্রার্থী এডমুন্ডো গনসালেসকে ‘নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট’ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে।
মাচাদোকে আগেই ওই নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল।