বাংলা রিপোর্ট//২০২০ সালে সবশেষ ঢাকায় নেপালকে হারিয়েছিল বাংলাদেশ। এরপর গত ৫ বছরে হিমালয়ের দেশটির বিপক্ষে জিততে পারেননি জামাল ভূঁইয়ারা। এবার নিজেদের মাঠে আবার সুযোগ এসেছে। ফিফা প্রীতি ম্যাচে বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) রাত ৮টায় জাতীয় স্টেডিয়ামে জয়ের লক্ষ্য নিয়েই মাঠে নামতে যাচ্ছে হাভিয়ের কাবরেরার দল। তবে নেপালও কম যাচ্ছে না। জয়ের হুঙ্কার তাদের কণ্ঠেও।
ফিফা র্যাংকিংয়ে নেপাল ১৮০ ও বাংলাদেশ রয়েছে ১৮৩ এ। নেপাল জাতীয় দলের ছয় জন খেলোয়াড় বাংলাদেশ ফুটবল লিগে খেলেন। কালকের ম্যাচে এটা তাদের জন্য বাড়তি সুবিধা কিনা? এমন প্রশ্নে বাংলাদেশ অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘আমিও ইভেন ক্লাবে (ব্রাদার্স ইউনিয়নে জামালের সতীর্থ) ওদের সঙ্গে থাকি। সো, ভালো নলেজ আছে। বাট, আমরা আন্ডারএস্টিমেট করি না। আমরা জানি নেপাল স্ট্রং আর ডিফিকাল্ট টিম। বাট, অফকোর্স ওরা এখানে খেলতেছে। সো, আই থিঙ্ক এটা আমার জন্যও অ্যাডভান্টেজ।’
বাংলাদেশের খেলোয়াড়রা আগের চেয়ে উন্নতি করেছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এখন তো ম্যাচ ইজ নট ৯০ মিনিট, এখন ম্যাচ হচ্ছে ৯৫, ৯৮ মিনিট। সো, এটা জাস্ট প্রুফ করে যে প্লেয়াররা যেটা খেলে, দে শুড বি রেডি অল টাইম। সিঙ্গাপুর ম্যাচে আমাদের ভুল ছিল। এটা মানে শিক্ষার জায়গা। এটা আর হবে না।’
সংবাদ সম্মেলনে নেপালের কোচ হড়ি খাড়কা
সংবাদ সম্মেলনে নেপালের কোচ হড়ি খাড়কা
এদিকে নেপাল কোচ হড়ি খাড়কা দুই যুগ পর বাংলাদেশে এসেছেন। তিনি বলেছেন, ‘বাংলাদেশ-নেপাল ম্যাচ সব সময় চ্যালেঞ্জিং। এখন হামজা ও অন্য খেলোয়াড় যোগ হয়েছে, বাংলাদেশ পূর্ণাঙ্গ একটা দল। তবে আমরা তাদের নিয়ে ভীত নই। কেননা, ফুটবল একটা দলীয় খেলা। এখানে ব্যক্তিগত নৈপূণ্যের মূল্য আছে, কিন্তু দিন শেষে এটা দলীয় খেলা। আমরা আগামীকালের ম্যাচের জন্য প্রস্তুত।’
হামজা চৌধুরীকে নিয়ে আলাদা করে বলতে গিয়ে এক সময় মোহামেডানে খেলা এই স্ট্রাইকারের ভাষ্য, ‘প্রতিপক্ষকে সব সময় আমাদের বিশ্লেষণ করতে হয় এবং প্রতিপক্ষের শক্তি, দুর্বলতা নিয়ে ভাবতে হয়। বাংলাদেশকে নিয়েও আমরা সেভাবেই ভেবেছি। দেশের বাইরে খেলার কারণে সে (হামজা) বাংলাদেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়। তবে আমাদের খেলোয়াড়রা মানসিকভাবে ভীষণ শক্তিশালী। আমরা কোনও চাপ অনুভব করছি না।’