বাংলা রিপোর্ট//ই-রিকশার প্রশিক্ষণ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেছেন, রিকশাচালকরা জুলাই গণঅভ্যুত্থানের অন্যতম অংশীজন। তাদেরকে লাইসেন্সের আওতায় নিয়ে আসলে আর কেউ অবৈধ বলতে পারবে না এবং হয়রানিমূলক শাস্তি দিতে পারবে না। তারা যথাযোগ্য নাগরিক মর্যাদা নিয়ে চলতে পারবে।
Google news
শনিবার (২৮ জুন) ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের অডিটোরিয়ামে তিন চাকার স্বল্প গতির ব্যাটারিচালিত রিকশার (ই-রিকশা) প্রশিক্ষণ কর্মসূচির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
উপদেষ্টা বলেন, “ই-রিকশায় চালকের লাইসেন্স এবং গাড়ির লাইসেন্স হবে অনলাইনে, যাতে করে দুর্নীতির সুযোগ না থাকে। শুরুতে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের অঞ্চল-১ এ নির্দিষ্ট সংখ্যক ই-রিকশা চলবে এবং ধারাবাহিকভাবে অন্যান্য জোনে চালু করা হবে। এছাড়া, রিকশা অ্যাপস্, ওয়েবসাইট এবং রিকশায় কিউআর কোড থাকবে যেনো সহজে ট্রাফিক পুলিশ রিকশাসংক্রান্ত যেকোনো তথ্য পেতে পারে।”
আসিফ মাহমুদ বলেন, “৫ আগস্টের পরে যখন রাস্তায় ট্রাফিক পুলিশ ছিল না, তখন শিক্ষার্থীরা দেশপ্রেমের চেতনায় বিনা পারিশ্রমিকে ট্রাফিক পুলিশের দায়িত্ব পালন করেছে। পুলিশ এবং যুব অধিদপ্তরের পাশাপাশি মাস্টার ট্রেইনার প্রশিক্ষণে তাই শিক্ষার্থীদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।”
স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা বলেন, “গত ঈদে সড়ক দুর্ঘটনা সংক্রান্ত রিপোর্টে উঠে এসেছে, সড়কে দুর্ঘটনার প্রায় ৩২ শতাংশ অটোরিকশার জন্য হয়েছে। অনেক জটিলতা এবং সময় স্বল্পতা সত্ত্বেও সকলের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় আমরা এই কার্যক্রম শুরু করছি।”
এর আগে নগর ভবনের নিচতলায় সজ্জিত নতুন ডিজাইনের ব্যাটারিচালিত রিকশাগুলো দেখেন তিনি।
অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মো. রেজাউল মাকছুদ জাহেদী। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ( ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়) ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব, মো. খোদা বখস চৌধুরী, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রশাসক মো. শাহজাহান মিয়া এবং ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ।