নিউজ ডেস্ক:
ভারত-শাসিত কাশ্মীরের পেহেলগামে জঙ্গি হামলায় ২৬ জন নিহত হওয়ার ঘটনার বদলায় ভারত মঙ্গলবার মধ্যরাতের পর পাকিস্তানে হামলা চালিয়ে উত্তেজনা আরও বাড়িয়েছে।
একে অপরের পাল্টাপাল্টি হামলায় দুপক্ষেই হয়েছে বেশকিছু প্রাণহানি।পাকিস্তানের অভিযোগ, ভারত বেসামরিক নাগরিকদেরকে হামলার নিশানা করেছে। তবে ভারত তা অস্বীকার করে বলেছে, তারা কেবল সেইসব জায়গাতেই হামলা করেছে যেখান থেকে ভারতে হামলার ছক কষা হয় এবং পরিচালনা করা হয়।
ভারত-শাসিত কাশ্মীরের পেহেলগামে হামলার জন্য ভারত পাকিস্তানকে দোষারোপ করেছে। তারা জঙ্গিদের মদদ দিচ্ছে বলে অভিযোগ ভারতের। পাকিস্তান এ অভিযোগ অস্বীকার করে হামলার ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত দাবি করেছে।
ভারতের চালানো অপারেশন সিঁদুরের পাল্টা জবাব দেওয়ারও অঙ্গীকার এরই মধ্যে করেছে পাকিস্তান। অপারেশন সিঁদুরে একসঙ্গে ৯টি জায়গায় হামলা চালিয়েছে ভারত। এত বড় মাপের জবাবি হামলা আগে হয়নি।
পাকিস্তান ও পাকিস্তান-শাসিত কাশ্মীরের ৯টি ঘাঁটিতে হামলা হয়েছে। মোট ২৪টি ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হেনেছে মুজাফ্ফরাবাদ, কোটলি, বাহাওয়ালপুর, রাওয়ালকোট, চাকসওয়াড়ি, ভিম্বার, নীলম ভ্যালি, ঝেলাম ও চকওয়ালে।
এর জবাবে ভারতে পাকিস্তানের হামলা অবশ্যম্ভাবী বলেই মনে করেন বিশেষজ্ঞদের বেশিরভাগই। আর সেক্ষেত্রে কূটনীতির ভূমিকার প্রয়োজন পড়বে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পাকিস্তানের হামলার পর পরবর্তীতে তীব্রতার মাত্রা ঠেকানোটাই হবে চ্যালেঞ্জ। আর সেখানেই আসবে সংকট কাটাতে কূটনীতির বিষয়টি। পাকিস্তান সংযত থাকার পরামর্শ পাবে। কিন্তু পাকিস্তানের হামলার পর দুই দেশ যাতে আরও বাড়াবাড়ির পর্যায়ে না যায় তা নিশ্চিত করার চাবিকাঠিই তখন হবে কূটনীতি।
ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে বাড়তে থাকা উত্তেজনার মধ্যে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের নেতারা এরই মধ্যে দেশ দুটিকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন।
পাকিস্তান অনেক দিন ধরেই পুরোনো কাশ্মীর সমস্যা সমাধানে মধ্যস্থতা কিংবা আন্তর্জাতিক হস্তক্ষেপকে স্বাগত জানিয়ে আসলেও ভারত বরাবরই কাশ্মীর নিয়ে সংঘাতের আন্তর্জাতিকীকরণ এড়িয়ে চলেছে।
ভারত ও পাকিস্তান দুই দেশই কাশ্মীরকে নিজেদের অংশ বলে দাবি করে। তবে দুই দেশই আলাদাভাবে কাশ্মীরের দুই অংশ শাসন করে আসছে। কাশ্মীর নিয়ে তিনবার যুদ্ধেও জড়িয়েছিল দুই দেশ।
২০১৯ সালে পুলওয়ামায় জঙ্গি হামলাকে কেন্দ্র করে ভারত-পাকিস্তান প্রায় সর্বাত্মক যুদ্ধের পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছিল। এবারও পেহেলগামে জঙ্গি হামলাকে কেন্দ্র করে দুই দেশ সর্বাত্মক যুদ্ধের দ্বারপ্রান্তে রয়েছে।
ভারত-পাকিস্তান সংঘাত নিয়ে এ পর্যন্ত কী বলেছে বিভিন্ন দেশ?
যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য চীন, ফ্রান্সসহ নানা দেশ এমনকী জাতিসংঘ পর্যন্ত ভারত-পাকিস্তানের সংঘাতপর্ণ এই পরিস্থিতে একই সুরে কথা বলেছে।
যুক্তরাষ্ট্র ভারত ও পাকিস্তান দুই দেশকেই যোগাযোগের পথ খোলা রাখা এবং হামলার তীব্রতা আর না বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছে। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী রুবিও বলেছেন, তিনি দুই পক্ষের সঙ্গেই আলোচনার মধ্যে থাকবেন, দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যকার পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে নজরে রাখবেন এবং সংকটের শান্তিপূর্ণ সমাধান আশা করবেন।
যুক্তরাজ্য ভারত-পাকিস্তান সংঘাতে কূটনৈতিক ভূমিকা পালনের প্রস্তাব দিয়েছে। বলেছে, তারা দুই দেশকেই সমর্থন করতে প্রস্তুত। দুইপক্ষেরই আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা, সংলাপ, উত্তেজনা প্রশমনে বিপুল আগ্রহ আছে, এবং এমন যে কোনও কিছুতে সমর্থন দরকার হলে যুক্তরাজ্য তা করতে ইচ্ছুক বলে জানিয়েছেন যুক্তরাজ্যের বাণিজ্যমন্ত্রী।
চীন পাকিস্তানে ভারতের হামলা দুঃখজনক আখ্যা দিয়েছে এবং ভারত-পাকিস্তান দুই দেশকেই সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে। চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এক বিবৃতিতে বলেছেন, তার দেশ সব ধরনের সন্ত্রাসবাদের বিরোধী।
ওদিকে, ফ্রান্স বলেছে, তারা সন্ত্রাসবাদ থেকে ভারতের নিজেদের সুরক্ষিত রাখার আকাঙ্খার বিষয়টি বোঝে। তবে বাড়াবাড়ি রকমের কিছু করা এড়িয়ে চলা এবং নাগরিকদেরকে সুরক্ষিত রাখার জন্য দুই দেশকে আহ্বান জানিয়েছেন ফরাসি পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
দক্ষিণ এশিয়ার শান্তি ও স্থিতিশীলতার স্বার্থে ভারত ও পাকিস্তানের প্রতি সংযম প্রদর্শন ও সংলাপের মাধ্যমে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার আহ্বান জানিয়েছে জাপান।
ওদিকে, জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসও দুই পারমাণবিক শক্তিধর দেশের মধ্যে সামরিক উত্তেজনা নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে তার মুখপাত্র বলেন, “নিয়ন্ত্রণরেখা ও আন্তর্জাতিক সীমান্ত পেরিয়ে ভারতের সামরিক অভিযান নিয়ে মহাসচিব অত্যন্ত উদ্বিগ্ন। তিনি উভয় দেশকে সর্বোচ্চ সংযম দেখানোর আহ্বান জানিয়েছেন।”
ভারত-পাকিস্তান সংকট নিরসনে মধ্যস্থতার প্রস্তাব দিয়েছে যারা:
জম্মু-কাশ্মীরের পেহেলগামে প্রাণঘাতী হামলার পর ভারত প্রত্যাঘাত শুরু করার আগেই একাধিক দেশ উত্তেজনা প্রশমনে মধ্যস্থতার আগ্রহ দেখিয়েছে।
চীন: পাকিস্তান পেহেলগামে হামলার আন্তর্জাতিক তদন্তে চীনের ভূমিকা নেওয়ার প্রস্তাব দেওয়ার পর চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র গুও জিয়াকুন “ন্যায়সঙ্গত ও নিরপেক্ষ তদন্তের” আহ্বান জানান। তিনি বলেন, আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতা রক্ষায় “সংলাপ ও পরামর্শ” প্রয়োজন।
রাশিয়া: রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ পাকিস্তানি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইশাক দারকে বলেন, ইসলামাবাদ ও নয়াদিল্লি রাজি থাকলে মস্কো রাজনৈতিক সমাধানের জন্য উদ্যোগ নিতে প্রস্তুত। এর আগে তিনি ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সঙ্গেও কথা বলেছিলেন।
মালয়েশিয়া: দেশটির প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম এক্স-এ দেওয়া বার্তায় পেহেলগামে হামলার “স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ তদন্তের” পক্ষে পাকিস্তানের অবস্থানের প্রতি সমর্থন জানান। তিনি বলেন, “প্রয়োজন হলে” মালয়েশিয়া গঠনমূলক ভূমিকা নিতে প্রস্তুত—যদি ভারত ও পাকিস্তান রাজি থাকে।
ইরান: দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাঘচি বলেছিলেন, “এই কঠিন সময়ে ইসলামাবাদ ও নয়াদিল্লির মধ্যে বোঝাপড়া তৈরিতে” ইরান মধ্যস্থতার ভূমিকা রাখতে প্রস্তুত।
কাশ্মীর নিয়ে মধ্যস্থতার ক্ষেত্রে ভারত-পাকিস্তানের অবস্থান কি?
ভারত কাশ্মীর সমস্যাকে তাদের এবং পাকিস্তানের মধ্যকার দ্বিপক্ষীয় বিষয় বলেই মনে করে। আর এ কারণে তারা কোনও তৃতীয়পক্ষকে এ বিষয়ে মধ্যস্থতা করতে দিতে চায় না। ভারত এমনকি ১৯৭২ সালের সিমলা চুক্তিকেও তাদের অবস্থান কোণঠাসা করার চেষ্টা বলেই মনে করে।
সিমলা চুক্তিকে দুই দেশের মধ্যে শত্রুতা অবসানের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হয়েছিল। সিমলা চুক্তির অধীনে দুই দেশের মধ্যে নিয়ন্ত্রণ রেখা (এলওসি) গঠিত হয়েছিল। সেই সময় ভারত-পাকিস্তান এই নিয়ন্ত্রণ রেখাকে সম্মান জানানো এবং একতরফা কোনও সিদ্ধান্ত না নিতে রাজি হয়েছিল।
নিয়ন্ত্রণ রেখাকে স্কেল হিসেবে বিবেচনা করে একে অপরের ভূখণ্ড থেকে সেনা প্রত্যাহারেও তারা রাজি হয়েছিল।কিন্তু দুই দেশই একে ওপরের বিরুদ্ধে নিয়ন্ত্রণ রেখাকে ‘না মানার’ অভিযোগ তুলে এসেছে।
ওদিকে, কাশ্মীরের বিষয়ে ভারতের আন্তর্জাতিক হস্তক্ষেপ না চাওয়ার কারণ কী সে সম্পর্কে ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রপের বিশ্লেষক পারভীন ডোনথির ধারণা, ভারত মনে করে যে, কাশ্মীর সংকটে আন্তর্জাতিক হস্তক্ষেপ হলে তাদের অবস্থান আর বলিষ্ঠ থাকবে না।
ভারত কাশ্মীর নিয়ে তাদের দাবি জোরাল বলেই মনে করে। তারা নিজেদেরকে আঞ্চলিক একটি শক্তি হিসাবে দেখে এবং পাকিস্তানের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় আলোচনায় তাদের প্রভাব খাটাতে চায়।
১৯৪৮ সালে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ রেজুলেশন ৪৭-এর মাধ্যমে কাশ্মীর ইস্যুতে গণভোট আয়োজনের প্রস্তাব দিয়েছিল, যাতে সেখানকার বাসিন্দারা ঠিক করতে পারেন তারা ভারত না পাকিস্তানের সঙ্গে থাকতে চান।
ওই প্রস্তাব আজও বাস্তবায়ন হয়নি। ভারত বরাবরই বলে এসেছে, কাশ্মীর তাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়, তাই তৃতীয় পক্ষের মধ্যস্থতার প্রশ্নই ওঠে না।
অন্যদিকে, পাকিস্তানের কাশ্মীর বিষয়ে তৃতীয়পক্ষের মধ্যস্থতার দ্বার খোলা রেখেছে। তা আলাদাভাবে কোনও দেশের পক্ষ থেকেই এ মধ্যস্থা হোক কিংবা জাতিসংঘের মতো কোনও বৈশ্বিক সংগঠন থেকেই হোক। পাকিস্তান কাশ্মীরের বিষয়টি জাতিসংঘের বিভিন্ন ফোরামেও নিয়মিত উত্থাপন করেছে। সংঘাত সমাধানে সংগঠনগুলোকে আহ্বানও জানিয়েছে।
ওদিকে, ভারত শাসিত কাশ্মীরে ভারতের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলেছে জাতিসংঘের মানবাধিকার পরিষদসহ একাধিক আন্তর্জাতিক সংস্থা।
লাহোর বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘সেন্টার ফর সিকিউরিটি, স্ট্র্যাটেজি অ্যান্ড পলিসি রিসার্চ’ এর পরিচালক রাবিয়া আখতার আল-জাজিরাকে বলেন, “কাশ্মীর সংকট আন্তর্জাতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এতে মানবিক, আইনি এবং রাজনৈতিক সব মাত্রা জড়িয়ে আছে।”
তার মতে, “ভারত সরাসরি দ্বিপক্ষীয় আলোচনা পরিহার করে আসায় সীমিত সুবিধার কারণে পাকিস্তান আন্তর্জাতিক মধ্যস্থতাকেই সবচেয়ে কার্যকর পথ মনে করে, যাতে কাশ্মীর ইস্যুটি বৈশ্বিক অঙ্গনে সচল থাকে।”
ভারত-পাকিস্তান সংঘাতে এর আগে তৃতীয়পক্ষ মধ্যস্থতা করেছে?
কাশ্মীর ইস্যুতে ভারত বরাবরই তৃতীয় পক্ষের মধ্যস্থতার বিরোধিতা করে আসলেও, ইতিহাস বলছে—এই দুই প্রতিবেশীর মধ্যে যুদ্ধ ও সামরিক উত্তেজনা থামাতে বহুবার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে বাইরের দেশগুলো।
১৯৬৫ সালের যুদ্ধে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে চূড়ান্ত লড়াই থামে সোভিয়েত ইউনিয়নের মধ্যস্থতায়। জানুয়ারি ১৯৬৬ সালে ‘তাশখন্দ চুক্তি’তে সই করেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী লাল বাহাদুর শাস্ত্রী ও পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আয়ুব খান। চুক্তিতে যুদ্ধ-পূর্ব সীমায় ফিরে যাওয়া এবং কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনঃস্থাপনে সম্মত হয় দুই দেশ।
১৯৯৯ সালের কারগিল সংঘাতে নিয়ন্ত্রণ রেখা অতিক্রম করে ভারতীয় ভূখণ্ডে ঢোকে পাকিস্তানি সেনারা। তবে যুক্তরাষ্ট্রের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটনের চাপেই পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ সেনা সরাতে বাধ্য হন। ক্লিনটন পাকিস্তানকে আন্তর্জাতিকভাবে বিচ্ছিন্ন করার হুমকি দিয়েছিলেন।
কার্গিল যুদ্ধে দুই পক্ষের মধ্যে ১০ সপ্তাহের সংঘর্ষে সে সময় নিহত হয়েছিল দুই দেশের প্রায় এক হাজার সেনা।
লাহোর বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘সেন্টার ফর সিকিউরিটি, স্ট্র্যাটেজি অ্যান্ড পলিসি রিসার্চের’ পরিচালক রাবিয়া আখতার বলেন, ঐতিহাসিকভাবে দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা কমাতে তৃতীয়পক্ষের মধ্যস্থতাই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। ভারত ও পাকিস্তানের দ্বিপক্ষীয়ভাবে সংকট সমাধানের পদ্ধতি ঠিকমত না থাকায় উত্তেজনা প্রশমন করতে তাদেরকে তৃতীয়পক্ষের ওপরই সে দায়িত্ব ছেড়ে দিতে হয়।
ঐতিহ্যগতভাবে যুক্তরাষ্ট্র, চীন, সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের মতো দেশগুলো এই ব্যাকচ্যানেল কূটনীতি পরিচালনা করে আসছে। তাদের উদ্যোগ কাশ্মীর সংকটের স্থায়ী সমাধান না আনলেও, উত্তেজনা কমানো এবং দুইপক্ষকে তাদের মুখ রক্ষা করে লড়াইয়ের দ্বারপ্রান্ত থেকে সরে যাওয়ার সুযোগ তৈরি করেছে।
তবে আখতারের মতে, বর্তমান পরিস্থিতিতে কার্যকরভাবে ভারসাম্য ফেরাতে আনুষ্ঠানিক মধ্যস্থতার পদক্ষেপ নয়, বরং দরকার হবে সতর্ক ব্যাকচ্যানেল কূটনীতি।
ওদিকে, ‘ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপ’ এর বিশ্লেষক পারভিন ডনথি মনে করেন, এবার পরিস্থিতি আরও জটিল, কারণ দুই পক্ষই অভ্যন্তরীন চাপের মুখে বেশি আগ্রাসী অবস্থানে রয়েছে। ফলে মধ্যস্থতা করা কঠিন হবে। এবার সব বন্ধু দেশ এবং শক্তিধর দেশগুলোর কাছ থেকে সমন্বিত এবং টেকসই আন্তর্জাতিক চাপ প্রয়োগের প্রয়োজন পড়বে।