1. masudkhan89@yahoo.com : admin :
  2. banglarmukhbd24@gmail.com : News Editor : News Editor
বুধবার, ১৪ মে ২০২৫, ০৩:৪১ পূর্বাহ্ন

স্বাক্ষরতার হার ৭৬ ভাগ, এটা বড় অর্জন: প্রধানমন্ত্রী

সাংবাদিক
  • আপডেট সময় : রবিবার, ১২ মে, ২০২৪
  • ১৯ বার সংবাদ দেখেছেন

 জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক ||

শিক্ষা খাতে আওয়ামী লীগ সরকারের ব্যাপক উদ্যোগ নেওয়ার কারণে গত ১৫ বছরে স্বাক্ষরতার হার ত্রিশভাগের বেশি বৃদ্ধিকে সরকারের বড় অর্জন হিসেবে বর্ণনা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

রোববার (১২ মে) গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর হাতে মাধ্যমিক ও সমমান পরীক্ষার ফলাফলের সারসংক্ষেপ এবং পরিসংখ্যান তুলে দেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল। পরে বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রী।

তিনি বলেন, ‘আমরা ৯৬ সালে যখন সরকারে আসি তখন স্বাক্ষরতার পেয়েছিলাম মাত্র ৪৫ শতাংশ। আমরা উদ্যোগ নেই এবং নিরক্ষরতা মুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তুলব, এ প্রকল্প নিয়ে প্রতিটি জেলাভিত্তিক স্বাক্ষরতার হার বাড়ানো এমনকি বয়স্ক শিক্ষা ব্যবস্থা আমরা করেছিলাম। ফলে আমাদের স্বাক্ষরতার হার ৬৫.৫ ভাগে উন্নত করতে সক্ষম হয়েছি। দুর্ভাগ্যের বিষয় আমাদের এই প্রকল্পটা বিএনপির যখন ২০০৮ ক্ষমতা এলো এটা বন্ধ করে দিলো।’

২০০৯ সালে যখন আমি আবার ক্ষমতায় আসি, তখন দেখি যে স্বাক্ষরতার হার কমে সেটা ৪৪ ভাগে নেমে এসেছে। তারপর আমার উদ্যোগ নিয়েছি, আজকে আমাদের ৭৬ ভাগের মতো স্বাক্ষরতার হার। এটা আমাদের ১৫ বছরের বিরাট অর্জন বলে মনে করি। সেই সঙ্গে আমাদের শিক্ষার্থীর সংখ্যাও বেড়েছে।’

শেখ হাসিনা বলেন, আমরা প্রতিটি উপজেলায় কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান করে দিচ্ছি। প্রতিটি জেলা বিশ্ববিদ্যালয় ও প্রতিটি বিভাগে মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় করে দিচ্ছি। কারিগরি শিক্ষায় অংশগ্রহণের হার ২২ ভাগে উন্নীত হয়েছে। এটা ২০৩০ সালের মধ্যে ৩০ ভাগ ও ২০৪১ সালের মধ্যে ৪১ ভাগ করার পরিকল্পনা আছে। প্রাথমিক পর্যায়ে যাতে খেলতে খেলতে শিখতে পারে, সে উদ্যোগ নিতে হবে।

পরীক্ষায় ফল খারাপ করলে সন্তানদের গালমন্দ না করার আহ্বান জানিয়ে অভিভাবকদের উদ্দেশ্য করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ফেল করেছে বলে গালমন্দ করবেন না। ফেল করেছে এতেই তো তাদের মনোকষ্ট। তাদের প্রতি সহানুভূতি দেখাতে হবে। পড়াশোনার দিকে আরও মনোযোগী করতে হবে। তাদের গালমন্দ করলে শিক্ষার্থীরা সেটা নিতে পারে না। ছেলে-মেয়েরা সেটা সহ্য করতে পারে না। কিছু ঘটনা ঘটিয়ে ফেলে, তা তো নিশ্চয় অভিভাবকরা চাইবেন না তাদের সন্তান হারাতে। সেজন্য তাদের সহানুভূতির সঙ্গে দেখেন, কেন সে পারলো না? সেটা খুঁজে বের করে তার সেই সমস্যা দূর করে আগে পড়াশোনা দিকে আরো মনোযোগী করে তুলুন। যাতে সে পরীক্ষা দেয় এবং সেদিকে দৃষ্টি দেয়।

সন্তানদের মেধা বিকাশের সুযোগ দিতে পরিবেশ তৈরির আহ্বান জানিয়ে বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, ‘আমি আমার অভিজ্ঞতা থেকে বলতে পারি যে, ছেলে-মেয়েদের পরপর বেশি বললে পরে তাদের ওই পড়ার আগ্রহটা হারিয়ে যায়। পরিবেশটা তৈরি করে যদি তাদের সঙ্গে নিয়ে বসা যায় তাহলে তাদের পড়ার আগ্রহটা এমনিতেই তৈরি হয়। আর আজকের ডিজিটাল যুগের ছেলে-মেয়ে, তাদের এমনিতেই মেধা বেশি। কাজেই সেই মেধা বিকাশের সুযোগটা দিতে হবে।’

পরীক্ষায় যারা কৃতকার্য হয়েছে তাদের অভিনন্দন জানান প্রধানমন্ত্রী। একইসঙ্গে অভিভাবক ও শিক্ষকদেরও অভিনন্দন জানান তিনি। আর যারা অকৃতকার্য হয়েছে তাদের মন খারাপ না করে আগামীতে আরও ভালো করার তাগিদ দেন সরকারপ্রধান।

মেয়ে শিক্ষার্থীর সংখ্যা বাড়ায় সন্তোষ প্রকাশ করেন সরকারপ্রধান বলেন, মেয়েরা একটা সময় স্কুলে যেতেই পারত না। এখন কিন্তু সেটা নেই। ৯৮ ভাগ মেয়ে স্কুলে যায়। মেয়েদের শিক্ষার পরিবেশ আমরাই করে দিয়েছি।

সামাজিক যোগাযোগ এ শেয়ার করুন

একই বিভাগের আরও সংবাদ
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত © ২০২১ বাংলার মুখ বিডি
ডিজাইন ও ডেভেলপমেন্ট @ ইজি আইটি সল্যুশন