1. masudkhan89@yahoo.com : admin :
  2. banglarmukhbd24@gmail.com : News Editor : News Editor
শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৬:১৭ পূর্বাহ্ন

বাইশে শ্রাবণ আজ

সাংবাদিক
  • আপডেট সময় : শুক্রবার, ৬ আগস্ট, ২০২১
  • ৩৭ বার সংবাদ দেখেছেন

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক |আমার দিন ফুরালো ব্যাকুল বাদল সাঁঝে, গহন মেঘের নিবিড় ধারার মাঝে’। বাইশে শ্রাবণ আবারও এসেছে মহাকালের সেই চেনাপথ ধরে। কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ৮১তম মহাপ্রয়াণ দিবস আজ।                                                                                        ১৩৪৮ বঙ্গাব্দের এইদিনে তিনি কলকাতায় পৈত্রিক বাসভবনে মৃত্যুবরণ করেন। তিনি গানে, কবিতায়, গল্পে, উপন্যাসে, প্রবন্ধে, ছবিতে প্রবলভাবে রয়েছেন আমাদের মাঝে।                                                                                                                                        তিনি মৃত্যুকে বন্দনা করেছেন এভাবে- ‘মরণ রে, তুঁহু মম শ্যাম সমান। মেঘবরণ তুঝ, মেঘ জটাজুট! রক্ত কমলকর, রক্ত-অধরপুট, তাপ বিমোচন করুণ কোর তব মৃত্যু-অমৃত করে দান।                                                                                                      রবীন্দ্রনাথ কি বুঝতে পেরেছিলেন, শ্রাবণের ভরা বর্ষার মধ্যেই তার জীবনের সমাপ্তি ঘনিয়ে আসবে? রবীন্দ্রনাথ প্রয়াত হওয়ার আগেই প্রয়াণ উপলব্ধি করেছেন নানাভাবে। আমরা তার কাব্যে মৃত্যুর প্রতিধ্বনি শুনেছি বারবার। তিনি মৃত্যুকে বড় গভীরভাবে উপলব্ধি করেছিলেন মাত্র একচল্লিশ বছর বয়সে প্রিয়তমা স্ত্রীর বিয়োগে। কবি যখন দূরে থাকতেন স্ত্রী মৃণালিণী দেবীকে ‘ভাই ছুটি’ সম্বোধন করে চিঠি লিখতেন। কবির সেই ‘ছুটি’ যখন সংসার জীবন থেকে সত্যিই একদিন ছুটি নিয়ে চলে গেলেন, তার বয়স তখন মাত্র ঊনত্রিশ। কিশোর বয়সে হারান বন্ধুপ্রতিম বৌদি কাদম্বরী দেবীকে।                                                                                              রবীন্দ্রনাথ বাংলাদেশ ও ভারত- দু’দেশের মানুষের প্রাণের কবি। তার লেখা ‘আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালোবাসি…` গানটি বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত। ভারতের জাতীয় সংগীতও তার লেখা।                                                                                      কলকাতার জোড়াসাঁকোর বিখ্যাত ঠাকুর পরিবারের দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর ও সারদাসুন্দরী দেবীর চতুর্দশ সন্তান রবীন্দ্রনাথের জন্ম ১২৬৮ বঙ্গাব্দের পঁচিশে বৈশাখ।                                                                                                                                                          বাঙালির প্রতিটি আবেগ অনুভবে জড়িয়ে আছেন রবীন্দ্রনাথ। ১৯৩০-এর দশক থেকেই রবীন্দ্রনাথ বিভিন্ন শারীরিক জটিলতায় ভুগছিলেন। জীবনের শেষ চার বছর তিনি বেশ অসুস্থ ছিলেন। ১৯৩৭ সালে তিনি একবার গুরুতর অসুস্থ হন। এর পর কিছুটা সুস্থ হলেও ১৯৪০ সালে তার অসুস্থতা বেড়ে যায়। তিনি শেষ জীবনে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ঘনঘটা এবং মানবতার সংকট দেখে দুঃখিত হন। তবু তিনি মানবতার জয়ে আস্থা হারাননি। ১৯৪১ সালে শেষবারের মতো শান্তিনিকেতন থেকে জোড়াসাঁকোর প্রাসাদে চলে আসতে হয় অসুস্থ কবিকে। মৃত্যুর সাত দিন আগেও কবিতা লিখেছেন তিনি।                                                                                  করোনাভাইরাস মহামারির প্রেক্ষাপটে প্রয়াণদিবসে এবারও কবিগুরুকে ভিন্ন আঙ্গিকে স্মরণ করা হবে। কবিগুরুর মহাপ্রয়াণ দিবসে থাকছে না বরাবরের মতো আয়োজন। কবিগুরুকে বছরের পর বছর তার প্রয়াণদিবসে বিভিন্ন ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠান ও সংগঠন ভিন্ন আয়োজনে স্মরণ করলেও দুই বছর ধরে মহামারি পাল্টে দিয়েছে সবকিছু। সশরীরে বড় কোনো আয়োজন নেই। তবে আজ (শুক্রবার) ভার্চুয়ালি নানা আয়োজনে কবিগুরুকে স্মরণ করা হবে।

সামাজিক যোগাযোগ এ শেয়ার করুন

একই বিভাগের আরও সংবাদ
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত © ২০২১ বাংলার মুখ বিডি
ডিজাইন ও ডেভেলপমেন্ট @ ইজি আইটি সল্যুশন